ঢাকা , শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যে কারনে সাবমেরিন কেবলের ইপিএসে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে

  • পোস্ট হয়েছে : ১১:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২২
  • 85

জুয়েল রানা : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি থেকে সরকারের পক্ষে নতুন করে শেয়ার ইস্যু করা হবে। এজন্য নতুন করে কোন অর্থ নেওয়া হবে না। ফলে কোম্পানির ব্যবসা সম্প্রসারনে কোন অর্থ যোগ না হলেও শেয়ার সংখ্যা বাড়তে যাচ্ছে। যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই শেয়ারপ্রতি মুনাফায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে লভ্যাংশ, শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ (এনএভিপিএস) ও শেয়ারপ্রতি নগদ প্রবাহ হিসাবে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

জানা গেছে, বর্তমানে সাবমেরিন কেবলের ১৬ কোটি ৪৯ লাখ ৫ হাজার ৫১০টি শেয়ার রয়েছে। এরসঙ্গে সরকারকে নতুন করে দিতে যাওয়া ১ কোটি ৪৮ লাখ ৬৯ হাজার ৩৭টি শেয়ার ইস্যু করা হবে। অর্থাৎ নতুন করে বিদ্যমান শেয়ারের ৯.০২ শতাংশ শেয়ার বৃদ্ধি পেতে যাচ্ছে। যা স্বাভাবিকভাবেই কোম্পানির ইপিএস ও এনএভিপিএসসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

এই নেতিবাচক প্রভাব পড়ার কারন হিসাবে থাকবে নতুন শেয়ার ইস্যুর বিপরীতে কোন অর্থ এখন না পাওয়া। যাতে করে শেয়ার বাড়লেও তার বিপরীতে কোন রিটার্ন আসবে না।

এদিকে নিরীক্ষকের মন্তব্যেও ইপিএস ও এনএভিপিএস প্রভাব পড়ার বিষয়টি উঠে এসেছে। নিরীক্ষক জানিয়েছেন, দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল প্রতিষ্ঠার জন্য সরকারের কাছ থেকে সাবমেরিন কেবলের জন্য ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১৬৬ কোটি টাকা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু পোটেনশিয়াল শেয়ার হিসাবে ওই অর্থকে ২০২০-২১ অর্থবছরের ইপিএস ও এনএভিপিএস গণনায় নেওয়া হয়নি। যাতে করে করে ইপিএস ও এনএভিপিএস অতিরঞ্জিত দেখানো হয়েছে।

তবে গত ২৫ জানুয়ারি সরকারের পক্ষে শেয়ার ইস্যুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। যার ফলে ওই অতিরঞ্জিত মুনাফা ও সম্পদ দেখানোর কোনভাবেই সুযোগ থাকবে না।

সাবমেরিনের পর্ষদ সরকারের ১৬৬ কোটি টাকা বিনিয়োগের বিপরীতে ১১০.২০ টাকা দরে ১ কোটি ৪৮ লাখ ৬৯ হাজার ৩৭টি শেয়ার ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে এরইমধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে বলে তারা ডিএসইকে জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া সরকার নিয়ন্ত্রণাধীন বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১৬৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা। এরমধ্যে সরকারের মালিকানা ৭৩.৮৪ শতাংশ ও শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ২৬.১৬ শতাংশ। কোম্পানিটির শনিবার (২৯ জানুয়ারি) শেয়ার দর দাড়িঁয়েছে ২৩১.১০ টাকায়।

আরও পড়ুন……
তিন প্রতিষ্ঠানে যমুনা অয়েলের দীর্ঘদিন ধরে পড়ে রয়েছে ১৯.০৫ কোটি টাকা

বিজনেস আওয়ার/২৯ জানুয়ারি, ২০২২/জেআর

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

One thought on “যে কারনে সাবমেরিন কেবলের ইপিএসে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

সর্বাধিক পঠিত

যে কারনে সাবমেরিন কেবলের ইপিএসে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে

পোস্ট হয়েছে : ১১:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২২

জুয়েল রানা : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি থেকে সরকারের পক্ষে নতুন করে শেয়ার ইস্যু করা হবে। এজন্য নতুন করে কোন অর্থ নেওয়া হবে না। ফলে কোম্পানির ব্যবসা সম্প্রসারনে কোন অর্থ যোগ না হলেও শেয়ার সংখ্যা বাড়তে যাচ্ছে। যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই শেয়ারপ্রতি মুনাফায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে লভ্যাংশ, শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ (এনএভিপিএস) ও শেয়ারপ্রতি নগদ প্রবাহ হিসাবে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

জানা গেছে, বর্তমানে সাবমেরিন কেবলের ১৬ কোটি ৪৯ লাখ ৫ হাজার ৫১০টি শেয়ার রয়েছে। এরসঙ্গে সরকারকে নতুন করে দিতে যাওয়া ১ কোটি ৪৮ লাখ ৬৯ হাজার ৩৭টি শেয়ার ইস্যু করা হবে। অর্থাৎ নতুন করে বিদ্যমান শেয়ারের ৯.০২ শতাংশ শেয়ার বৃদ্ধি পেতে যাচ্ছে। যা স্বাভাবিকভাবেই কোম্পানির ইপিএস ও এনএভিপিএসসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

এই নেতিবাচক প্রভাব পড়ার কারন হিসাবে থাকবে নতুন শেয়ার ইস্যুর বিপরীতে কোন অর্থ এখন না পাওয়া। যাতে করে শেয়ার বাড়লেও তার বিপরীতে কোন রিটার্ন আসবে না।

এদিকে নিরীক্ষকের মন্তব্যেও ইপিএস ও এনএভিপিএস প্রভাব পড়ার বিষয়টি উঠে এসেছে। নিরীক্ষক জানিয়েছেন, দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল প্রতিষ্ঠার জন্য সরকারের কাছ থেকে সাবমেরিন কেবলের জন্য ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১৬৬ কোটি টাকা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু পোটেনশিয়াল শেয়ার হিসাবে ওই অর্থকে ২০২০-২১ অর্থবছরের ইপিএস ও এনএভিপিএস গণনায় নেওয়া হয়নি। যাতে করে করে ইপিএস ও এনএভিপিএস অতিরঞ্জিত দেখানো হয়েছে।

তবে গত ২৫ জানুয়ারি সরকারের পক্ষে শেয়ার ইস্যুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। যার ফলে ওই অতিরঞ্জিত মুনাফা ও সম্পদ দেখানোর কোনভাবেই সুযোগ থাকবে না।

সাবমেরিনের পর্ষদ সরকারের ১৬৬ কোটি টাকা বিনিয়োগের বিপরীতে ১১০.২০ টাকা দরে ১ কোটি ৪৮ লাখ ৬৯ হাজার ৩৭টি শেয়ার ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে এরইমধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে বলে তারা ডিএসইকে জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া সরকার নিয়ন্ত্রণাধীন বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১৬৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা। এরমধ্যে সরকারের মালিকানা ৭৩.৮৪ শতাংশ ও শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ২৬.১৬ শতাংশ। কোম্পানিটির শনিবার (২৯ জানুয়ারি) শেয়ার দর দাড়িঁয়েছে ২৩১.১০ টাকায়।

আরও পড়ুন……
তিন প্রতিষ্ঠানে যমুনা অয়েলের দীর্ঘদিন ধরে পড়ে রয়েছে ১৯.০৫ কোটি টাকা

বিজনেস আওয়ার/২৯ জানুয়ারি, ২০২২/জেআর

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: